ফের এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে আগুন, জরুরি অবতরণ

প্রকাশিত: রবিবার, ৩১ আগস্ট ২০২৫, ১২:৩২ পিএম

এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে বিপত্তি যেন থামছেই না। ভারতীয় বিমান সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান আবারও গোলযোগের কবলে। উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই ফ্লাইটের একটি ইঞ্জিনে আগুন দেখা গেলে ককপিট থেকে তড়িঘড়ি ইঞ্জিন বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
দিল্লি থেকে ইন্দোর যাচ্ছিল এয়ার ইন্ডিয়ার এআই২৯১৩ বিমানটি। দিল্লি থেকে ওড়ার পরেই মাঝ আকাশে আগুন দেখা যায় বিমানের একটি ইঞ্জিনে। বিমানটিকে আবার দিল্লিতে ফিরিয়ে আনা হয়।
রবিবার সকালে দিল্লি থেকে ইন্দোরের উদ্দেশে রওনা দেয় এয়ার ইন্ডিয়ার এআই২৯১৩ বিমানটি। ফ্লাইট টেকঅফের কিছুক্ষণ পরেই ককপিট কর্মীরা বিমানটির ডান দিকের ইঞ্জিনে আগুন দেখতে পান। সঙ্গে সঙ্গেই জরুরি পদক্ষেপ নিয়ে ইঞ্জিনটি বন্ধ করে দেন পাইলটরা। এরপরেই তড়িঘড়ি বিমানটিকে দিল্লিতে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয়।
বিমানে সাধারণত দুটি ইঞ্জিন থাকে। এক্ষেত্রে ডান দিকের ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে গেলেও বাম দিকের ইঞ্জিনটি সচল ছিল। ফলে আরও কিছুক্ষণ আকাশে ভেসে থাকতে পেরেছে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটি। পরে বিমানবন্দরে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন পাইলট।
কিছুক্ষণের মধ্যে দিল্লি বিমানবন্দরে ওই বিমান নিরাপদে অবতরণ করে। যাত্রীদের কোনও ক্ষতি হয়নি। তবে আরও একটা বড়সড় বিপদের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন তারা। মাঝ-আকাশে যে ভাবে একটি ইঞ্জিনে আগুন ধরে গিয়েছিল, তা যদি ছড়িয়ে যেত, তবে বিপদ ঘটতে পারত। দ্বিতীয় ইঞ্জিনটিতে সামান্যতম কোনও সমস্যাও এ ক্ষেত্রে ডেকে আনতে পারতো বড় বিপদ।
বিমান সংস্থার মুখপাত্র জানিয়েছেন, যাত্রীরা সকলে সুরক্ষিত রয়েছেন। বিমানটিকে জরুরী অবতরণ করানো হয়েছে। যাত্রীদের জন্য বিকল্প বিমানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে বিমানটিতে কতজন যাত্রী সংখ্যা ছিল তা এখনও জানা যায়নি।
অন্যদিকে, এয়ার ইন্ডিয়ার তরফে একটি বিবৃতি জারি করে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, ৩১ শে অগাস্ট দিল্লির ইন্দোর গামী ফ্লাইট এআই২৯১৩ টেকঅফের কিছুক্ষণ পরেই আবার দিল্লিতে ফিরে আসে। কারণ ককপিটে থাকা ক্ররা তাঁরা বিমানের ডানদিকের একটি ইঞ্জিনে আগুন লাগার ইঙ্গিত পেয়েছিলেন। এরপরেই নিরাপত্তা সংক্রান্ত পদ্ধতি মেনে ক্রু সদস্যরা পদক্ষেপ নেন। তাঁরা ইঞ্জিনটি বন্ধ করে দেন। এরপরেই তড়িঘড়ি বিমানটিকে মাঝ আকাশ থেকে দিল্লিতে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয়। বিমানটির একটি ইঞ্জিন বিকল হলেও অন্যটির সাহায্যে জরুরী অবতরণ করানো সম্ভব হয়। ইতিমধ্যেই বিমানটিকে পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। কেন আচমকা এমন ঘটনার সম্মুখীন হল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ১২ জুন আহমেদাবাদ থেকে লন্ডন-গ্যাটউইকগামী এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমান উড্ডয়নের পরপরই ভেঙে পড়ে। এতে যাত্রী, পাইলট, ক্রুসহ মোট ২৬০ জনের মৃত্যু হয়। বিমানটি ওড়ার পর সামনের বিল্ডিংয়ে ধাক্কা খেয়ে বিধ্বস্ত হয়েছিল। ফলে সেখানেও অনেকের মৃত্যু হয় এই দুর্ঘটনায়। এরপর থেকে বারবার এয়ার ইন্ডিয়ার পরিষেবায় নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।